Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
Physical Address
304 North Cardinal St.
Dorchester Center, MA 02124
কুড়কুড়ে একটি জনপ্রিয় খাবার যা সকল বয়সের মানুষের কাছে পছন্দের। এটি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপকরণ যেমন আটা, সুজি, মশলা ইত্যাদি সহজেই বাজারে পাওয়া যায়। এটি তৈরির প্রক্রিয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজিও তুলনামূলকভাবে কম। এটি বিভিন্ন স্বাদ, আকার এবং আকৃতিতে তৈরি করা যায়। এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রও ব্যাপক। কুড়কুড়ে তৈরির ব্যবসা শুরু করার জন্য কুড়কুড়ে মেকিং মেশিন একটি অপরিহার্য সরঞ্জাম।
মেশিন ব্যবহার করে আপনি দ্রুত ও সহজেই এটি তৈরি করতে পারবেন।
এই ব্যবসা শুরু করার জন্য :
প্রথম ধাপ: পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি
বাজার গবেষণা: ব্যবসা শুরুর আগে বাজারের গবেষণা করা প্রয়োজন।
ব্যবসার ধরণ: ব্যবসার ধরণ নির্ধারণ করা যাবে, উদাহরণস্বরূপ, পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয় বা উৎপাদন।
পুঁজি: ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজি প্রণালী নির্ধারণ করা।
আইনি দিক: ব্যবসা শুরুর আগে প্রয়োজনীয় আইনিক নির্দেশনা অনুসরণ করা।
দ্বিতীয় ধাপ: রেসিপি, উৎপাদন, মান নিয়ন্ত্রণ, বাজারজাতকরণ, মূল্য নির্ধারণ, প্রচারণা
রেসিপি: পণ্য বা পরিষেবার উৎপাদন পদ্ধতি নির্ধারণ করা।
উৎপাদন: পণ্য বা পরিষেবার উৎপাদন করা।
মান নিয়ন্ত্রণ: পণ্যের মান নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় উপায় নেয়া।
বাজারজাতকরণ: পণ্যের বাজারে প্রবেশ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াকলাপ নেয়া।
মূল্য নির্ধারণ: পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করা।
প্রচার: বিভিন্ন প্রচারণা পদ্ধতি ব্যবহার করে পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করা।
তৃতীয় ধাপ: বিক্রয় পয়েন্ট, দোকান, অনলাইন, ডেলিভারি
বিক্রয় পয়েন্ট: পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয় করার জন্য বিভিন্ন বিক্রয় পয়েন্ট নির্ধারণ করা।
দোকান: পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয় করার জন্য দোকান স্থাপন করা।
অনলাইন: ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয় করা।
ডেলিভারি: কাস্টমারদের কাছে পণ্য বা পরিষেবা পৌঁছানোর জন্য ডেলিভারি পদ্ধতি ব্যবহার করা।
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কুড়কুড়ে তৈরির ব্যবসার প্রস্তুতি ও পরিচালনা করা যেতে পারে।
কুড়কুড়ে মেকিং মেশিন বিভিন্ন ধরণের আছে।
১. ছোটো মেশিন:ঘরে বসে ব্যবসার জন্য উপযুক্ত | কম পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা যায় | ছোটো কুড়কুড়ে তৈরির মেশিন |
২. মাঝারি মেশিন: ছোটো ব্যবসার জন্য উপযুক্ত | বেশি উৎপাদন করা যায় |
৩. বড় মেশিন: বড় ব্যবসার জন্য উপযুক্ত | অনেক বেশি উৎপাদন করা যায়
প্রথম ধাপ: মেশিন প্রস্তুত করা| মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করুন। মেশিনের সব অংশ পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। মেশিনের তেল পরিবর্তন করুন (প্রয়োজনে)। মেশিনের সব নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র সঠিকভাবে সেট করুন।
দ্বিতীয় ধাপ: উপকরণ প্রস্তুত করা | ময়দা, লবণ, তেল, মশলা, পানি সঠিক অনুপাতে মিশিয়ে মণ্ড তৈরি করুন। মণ্ড থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করুন।
তৃতীয় ধাপ: মেশিনে কুড়কুড়ে তৈরি করা। মেশিনের ছাঁচে ছোট ছোট বলগুলো ঢোকান। মেশিন চালু করুন। মেশিন থেকে কুড়কুড়ে বেরিয়ে আসলে তা গরম তেলে ভেজে নিন। কুড়কুড়ে বাদামী রং ধারণ করলে তা তেল থেকে তুলে ফেলুন।
চতুর্থ ধাপ: ভেজা কুড়কুড়ে ঠান্ডা করে নিন। কুড়কুড়ে শুকানো এবং প্যাকেজিং করা |
একটি পাতলা কাপড়ে ছড়িয়ে শুকিয়ে নিন। সুন্দর ও সুবিধাজনক প্যাকেটে প্যাক করুন।
মেশিনের কোনো গ্যারান্টী বা ওয়ারেন্টি আছে কিনা কেনার সময় দেখে নেবেন । আমাদের থেকে মেশিন কিনলে আপনি অনেকদিন ওয়ারেন্টি পাবেন। আপনার মেশিনের কোনো কিছু খারাপ হয়ে গেলে তা সারিয়ে দেওয়া হবে।
এই ব্যবসার জন্য কতটা জায়গার প্রয়োজন তা নির্ভর করে আপনার ব্যবসার আকার এবং পরিকল্পনার উপর।
ন্যূনতম জায়গা: খুব ই কম জায়গার মধ্যে এটি সম্পন্ন করা যায়।
খাবার তৈরি: ছোটো ব্যবসার জন্য, 10 বর্গফুট জায়গা যথেষ্ট। বড়ো ব্যবসার জন্য, 50 বর্গফুট বা তার বেশি জায়গা প্রয়োজন।
সরঞ্জাম: রান্নার সরঞ্জাম, মেশিন, এবং অন্যান্য সরঞ্জাম রাখার জন্য 10 বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন।
প্যাকেজিং: পণ্য প্যাকেজিং করার জন্য 5 বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন।
স্টোরেজ: আপনি যদি বড়ো পরিমাণে কুড়কুড়ে তৈরি করেন, তাহলে পণ্য স্টোর করার জন্য অতিরিক্ত জায়গার প্রয়োজন হবে।
বিক্রয়: আপনি যদি আপনার দোকানে কুড়কুড়ে বিক্রি করতে চান, তাহলে দোকানের জন্য অতিরিক্ত জায়গার প্রয়োজন হবে।
কর্মী: আপনার যদি অনেক কর্মী থাকে, তাহলে তাদের জন্য আলাদা জায়গার প্রয়োজন হবে।
কুড়কুড়ে বিক্রি করার জন্য আপনি বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করতে পারেন।
কিছু জনপ্রিয় উপায় হল:
1. সরাসরি বিক্রি: আপনি এটি সরাসরি গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। আপনি আপনার বাড়িতে, বাজারে, বা রাস্তার পাশে একটি স্টল স্থাপন করে এটি বিক্রি করতে পারেন। আপনি এটি অনলাইনেও বিক্রি করতে পারেন।
2. খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি: আপনি এটি স্থানীয় খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। এটি আপনাকে বৃহত্তর বাজারে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
3. পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি: আপনি এটি পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। এটি আপনাকে বৃহত্তর পরিমাণে কুড়কুড়ে বিক্রি করতে সাহায্য করবে।
4. অনলাইনে বিক্রি: আপনি অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।
এটি আপনাকে বিশ্বব্যাপী বাজারে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
কুড়কুড়ে ব্যাবসা শুরু করতে গেলে আগেই ভাবতে হবে লাভ কেমন সেই ব্যবসা তে। আয় কম কিনা ! কিন্তু এটি যেহেতু সারা বছর চলে ,তাই সারা বছর ই চাহিদা থাকে। আর লাভের পরিমান অনেক বেশি থাকে।
এই ব্যবসা করতে গেলে আপনার নিম্নলিখিত লাইসেন্সগুলির প্রয়োজন হবে:
ট্রেড লাইসেন্স: স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষ (পৌরসভা/পঞ্চায়েত) থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে।
আবেদনপত্র, জমা দেওয়ার ফি, এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র (যেমন, মালিকানার প্রমাণ, ভাড়ার চুক্তি, ছবি) জমা দিতে হবে।
খাদ্য লাইসেন্স: খাদ্য নিরাপত্তা ও মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (FSSAI) থেকে খাদ্য লাইসেন্স নিতে হবে। FSSAI-এর ওয়েবসাইটে অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
GST রেজিস্ট্রেশন: যদি আপনার বার্ষিক টার্নওভার ₹20 লক্ষের বেশি হয়, তাহলে GST রেজিস্ট্রেশন নিতে হবে। GST পোর্টালে অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
এটি তৈরির মেশিনের দাম আহামরি কিছু বেশি নয়। আমাদের থেকে মেশিন কিনলে সব থেকে কম দাম এ মেশিন কিনতে পারবেন।
কুড়কুড়ে, ভারতীয় উপমহাদেশের একটি জনপ্রিয় মুখরোচক খাবার, বাজারে এটি ক্রমবর্ধমান চাহিদা দেখা যাচ্ছে। চাহিদা বৃদ্ধির কারণ:
ব্যস্ত জীবনধারা: দ্রুত জীবনধারার কারণে, লোকেরা দ্রুত এবং সহজেই তৈরি করা খাবার খুঁজছেন। কুড়কুড়ে একটি সুস্বাদু এবং সুবিধাজনক খাবার যা সহজেই তৈরি করা যায়।
স্বাস্থ্য সচেতনতা: কুড়কুড়েতে প্রোটিন, ফাইবার এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকে। স্বাস্থ্য সচেতন গ্রাহকদের কাছে এটি একটি আকর্ষণীয় খাবার।
বিভিন্নতা: বাজারে বিভিন্ন ধরণের কুড়কুড়ে পাওয়া যায়, যা গ্রাহকদের বিভিন্ন রুচি পূরণ করে।
বাজারজাতকরণ: কুড়কুড়ে ব্র্যান্ডিং এবং আকর্ষণীয় বাজারজাতকরণের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করছে।
এটি তৈরির মূল কাঁচামাল হলো:
ময়দা: সবচেয়ে সাধারণ উপাদান হল ময়দা। বিভিন্ন ধরণের ময়দা ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন: সাদা ময়দা: সবচেয়ে সাধারণ এবং সহজলভ্য। গমের ময়দা: পুষ্টিকর এবং হালকা।
লবণ: স্বাদ এবং সুগন্ধের জন্য লবণ ব্যবহার করা হয়। স্বাদ অনুযায়ী লবণের পরিমাণ পরিবর্তন করা যাবে।
তেল: এটি ভাজার জন্য তেল ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন ধরণের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন: সয়াবিন তেল সহজলভ্য এবং সস্তা। সূর্যমুখী তেল: পুষ্টিকর এবং হালকা। জলপাই তেল: সুগন্ধযুক্ত এবং সুস্বাদু।
পানি: ময়দা মেশানোর জন্য পানি ব্যবহার করা হয়। পানির পরিমাণ ময়দার ধরণের উপর নির্ভর করে।
ঐচ্ছিক উপাদান: মশলা: হলুদ গুঁড়া– রঙ এবং সুগন্ধের জন্য। মরিচ গুঁড়া– ঝালের জন্য। ধনে গুঁড়া– সুগন্ধের জন্য জিরা গুঁড়া , সবজি: পেঁয়াজ, আলু | কাঁচা মরিচ, বাদাম,কাঁচা কাজুবাদাম, কিশমিশ,পনির,ডিম।
ময়দা, লবণ, এবং পানি মিশিয়ে নরম মন্ড তৈরি করুন। মন্ড ছোট ছোট ভাগ করে পাতলা করে বেলে নিন। পাতলা রুটির টুকরো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। কড়াইতে তেল গরম করে কুড়কুড়ে ভেজে নিন। স্বাদ অনুযায়ী লবণ এবং মশলা দিয়ে মিশিয়ে নিন।
কিছু টিপস: ময়দা ভালো করে মেশান। এটি ভাজার সময় তেলের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন। এটি ভেজে বাদামী রঙ হওয়ার পর নামিয়ে নিন।
আকর্ষণীয় ব্র্যান্ডিং: একটি আকর্ষণীয় এবং স্মরণীয় ব্র্যান্ড নাম এবং লোগো তৈরি করুন।
ব্র্যান্ডের সাথে একটি অনন্য গল্প বা ধারণা যুক্ত করুন। ব্র্যান্ডের পরিচয় সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখুন, যেমন প্যাকেজিং, বিজ্ঞাপন, এবং ওয়েবসাইট।
লক্ষ্য বাজার নির্ধারণ: আপনার কুড়কুড়ে কে কিনবে তা নির্ধারণ করুন। আপনার বাজারজাতকরণ বার্তা এবং কৌশল লক্ষ্য বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করুন।
বাজারজাতকরণ চ্যানেল: বিভিন্ন বাজারজাতকরণ চ্যানেল ব্যবহার করুন, যেমন: প্রিন্ট বিজ্ঞাপন,ডিজিটাল বিজ্ঞাপন,ইভেন্ট স্পনসরশিপ |
পরিশ্রম, ধৈর্য্য এবং নতুন জিনিস শিখতে ইচ্ছুক থাকলে আপনি এই ব্যবসায় সফল হতে পারবেন।
আপনার যদি এই গুণাবলী থাকে এবং আপনি কম পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে কুড়কুড়ে তৈরির ব্যবসা আপনার জন্য একটি ভালো বিকল্প হতে পারে।
এই ধরণের লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে আমাদের ব্লগ এ চোখ রাখুন।
শুভকামনা!